Image description

সুলতান আহমেদ রাহী

সুলতান আহমেদ রাহী 
২০০৭ সালে বাংলাদেশের রাজনীতিকে বিরাজনীতিকরণ এবং মাইনাস টু ফর্মূলা বাস্তবায়নের জন্য তাদের প্রধান টার্গেটে পরিনত হয় জিয়া পরিবার ও দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব এবং গনতন্ত্র পড়ে হুমকির মুখে। বিএনপিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করবার জন্য রাষ্ট্রের শত শত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়। 

গ্রেফতার করা হয় প্রধান দুই শীর্ষ নেত্রীকে। দেশ ত্যাগের প্রস্তাব করা হয় দুই দলের দুই নেত্রী কিন্তু আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রাজি হলেও রাজি হননি বিএনপি চেয়ারপার্সন আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া! তার দুই সন্তান কে গ্রেফতার করে চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। এক সময় দেশনেত্রীকে বলা হয়েছিলো আপনি যদি দেশত্যাগ করেন তাহলে আপনার সন্তানদের ছেড়ে দেওয়া হবে নতুবা আপনার ছেলেদের জীবনের উপর নেমে আসবে জীবনের হুমকি! 

বেগম খালেদা জিয়া দেশ প্রেমের ইবাদতের অংশ হিসেবে সাহসের সাথে বলেছিলেন এই দেশের মাটিতে শুয়ে আছে আমার স্বামী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম), এই দেশের মানুষ আমাকে ভালোবেসে তিনবার প্রধানমন্ত্রী করেছেন আমার স্বামীকে করেছেন রাষ্ট্রপতি তাই দেশের মানুষকে বিপদে রেখে আমি কোথাও যাবোনা,বিদেশে আমার কোনো ঠিকানা নেই বাংলাদেশই একমাত্র আমার ঠিকানা। আমি বা আমার সন্তানরা যদি কোন অপরাধ করে থাকে তবে দেশের প্রচলিত আইনে বিচারে যে সাজা হয় আমি মাথা পেতে নিবো তবু বিদেশের মাটিতে আরাম আয়েসের জীবন আমি গ্রহণ করবোনা। তখন দেশের শত্রুরা দেশনেত্রীকে প্রস্তাবদেন আপনি আমাদের দুই বছরের সকল কর্মকান্ডের বৈধতা দেন! 

বেগম খালেদা জিয়া বলেছিলেন ক্ষমতার মালিক মহান আল্লাহ ও দেশের জনগন। দেশের মানুষ চাইলে ক্ষমতায় আসবো না হলে নয় কারো দয়া বা শর্তে আমি ক্ষমতা গ্রহন করবোনা। 

আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাদের শর্তে রাজি না হলেও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রাজী হয়েছিলেন। এবং সেই দেশপ্রেমের সাজা হিসাবে এখনও সব নির্যাতন জিয়া পরিবার ও বিএনপি ভোগ করে চলেছে। এখন মাইনাস টু নাই আছে মাইনাস ওয়ান।

সেই ভয়াল ১/১১ বিদেশি ও ভারত সহ দেশের শত্রুরা ষড়যন্ত্র করে গ্রেফতারের পর জনাব তারেক রহমানকে যেভাবে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেটি দেখে অনেকেই চমকে উঠেছিলেন। র‍্যাব-এর বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট এবং হেলমেট পরিয়ে ঢাকার একটি আদালতে তোলা হয়েছিল আমাদের বাংলাদেশের মহাযাত্রার মহানায়ক অবশ্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানকে। এরপর তারুণ্যের প্রাণ তারেক রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছিল। তোলা হয়েছিল রিমান্ডে তার উপর 'অমানুষিক নির্যাতন। 

আদালতে দেয়া বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের বক্তব্য রিমান্ডের সময় আমাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৮ ঘণ্টাই হাত ও চোখ বেঁধে রাখা হয়েছিল ... আমাকে বেঁধে রুমের ছাদের সাথে ঝুলিয়ে আবার ফেলে দেয়া হয় এবং শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়। আমার মানবাধিকার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চিকিৎসার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করা হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় তারেক রহমানের উপর নির্যাতনে অভিযোগ তখন বেশ জোরালোভাবে দেশের ছাত্রসমাজ ও জনগণ পক্ষ থেকে তোলা হয়েছিল। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দুরে সরানো জন্য রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করেও আজও একটি অপরাধ প্রমান করতে পারেনি। 

ইতিমধ্যে বিচারক মো. মোতাহার হোসেন দেশের ভবিষ্যত, আশা ও আকাঙ্ক্ষার প্রতীক জনাব তারেক রহমানের নুন্যতম অপরাধ না পেয়ে গরীব মেহনতী মানুষ, মাটি ও কৃষকের নেতা তারেক রহমানকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। সে রায়ের পর থেকে শাসক শেখ হাসিনা বিচারক মোতাহার হোসেন কে দেশত্যাগ করতে বাধ্য করেন। শুধুমাত্র রাজনৈতিক ঈর্ষা ও প্রতিহিংসায় ডামি ভোটের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজও বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানকে টার্গেট করে ষড়যন্ত্র চলমান রাখছে অথচ বিভিন্ন মিডিয়ায়, সংবাদ পত্রিকায় সবসময় বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রী,তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় তার পরিবারের সদস্যরা সহ শাসকগোষ্ঠী নেতাদের দেশের মেহনতী মানুষের টাকা চুরি করে বিলিয়ন বিলিয়ন অর্থ পাচার,শেয়ার কেলেংকারী, ব্যাংকের টাকা লুটপাত, বিদেশে বিলাসবহুল একাধিক গাড়ি-বাড়ি ক্রয়, গ্লোব ক্লাবের মালিক ইত্যাদি দুর্নীতির শিরোনামে স্বাক্ষর রাখছেন। 

বর্তমানে ১/১১ এর কুশীলবরা আজ স্বীকার করছেন দুর্নীতি দায়ে শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করার পর সকলের কাছে নিজেদের শুধুমাত্র নিরপেক্ষ প্রমান করার জন্য জিয়া পরিবারের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের সহ বেগম খালেদা জিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছিলো অথচ সততা নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করা আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ছিলেন সম্পূর্ণ নির্দোষ। যা তৎকালীন সরকারের বিভিন্ন সদস্য সহ সেনা কর্মকর্তা মি. বারী বিভিন্ন লাইভ টকশোতে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে তা সত্য স্বীকার করে বলেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা সম্পূর্ণ নির্দোষ ও বেগম খালেদা জিয়ার কাছে লাইভ টকশোতে ক্ষমা চেয়েছেন তার এবং জিয়া পরিবারের উপর নির্যাতন করার জন্য। 

কথায় আছে ফিয়ার ইজ সিকনেস অর্থাৎ ভয় একটি অসুখ। আজও দেশ ও বিদেশের শত্রুরা জিয়া পরিবার তথা দক্ষিন এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর দেশপ্রেম,সততা,সাংগঠনিক শক্তি,জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে ষড়যন্ত্র চলমান রাখছে আজ দেশকে রক্ষা করতে হলে বিএনপি পরিবারের বৃত্তের বিন্দু জনাব তারেক রহমানকে হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তার নেতৃত্বে-আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রিয় মাতৃভূমি থেকে শত্রুদের পরাজিত করতে হবে। 

তাহলেই আমাদের  বাংলাদেশে সকল নাগরিকের সাম্য, মানবিক-মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে এবং স্বৈরাচার ধ্বংস হয়। প্রবাদ আছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় শিক্ষা, স্বৈরাচার কখনো ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। অমানিশা শেষে ভোরের সুন্দর আলোয় একদিন ইতিহাসের অতল গহ্বরে স্বৈরাচার নিজেই হারিয়ে যায়।। 

লেখকঃ আহ্বায়ক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল