খেলা ডেস্ক
আরটিএনএন: অবসরের আগে একজন ক্রিকেটার সাধারণত দুটি ইচ্ছের কথা বলেন— বড় কোনো টুর্নামেন্ট জেতার পর বিদায় বলব নয়তো ঘরের মাটিতে নিজেদের দর্শকের সামনে শেষ বলব।
রবিচন্দ্রন অশ্বিনের সুযোগ হয়নি একটিরও। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা।
সাবেক-বর্তমান থেকে মিডিয়া, সবারই মুখে ফিরছে আরেকটু ভালো ফেয়ারওয়েল হতে পারত অশ্বিনের। কিন্তু সম্মানের প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন ভারতের সাবেক তারকা স্পিনার।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি চলাকালে অবসর নিয়েছিলেন অশ্বিন। ব্রিসবেন টেস্টের পর হুট করেই জানান, জাতীয় দলের সবধরণের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিচ্ছেন।
এরপরই জল্পনার শুরু। কেন হুট করে বিদায় নিলেন, এমন প্রশ্নও ঘুরছিল। সব প্রশ্নের উত্তরে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অশ্বিন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘অসম্মানিত’ হওয়ার ভয় ছিল তার।
সাবেক তারকা বনে যাওয়া অশ্বিন বলেন, ‘যখন কেউ বুঝতে পারে, তার দায়িত্ব ফুরিয়েছে। তখন অন্য কিছু মাথায় থাকে না। লোকে তো অনেক কথাই বলবে। আমি প্রথম টেস্ট খেলিনি। দ্বিতীয় টেস্টে খেলেছি, তৃতীয়টায় ছিলাম না। চতুর্থ বা পঞ্চম ম্যাচে খেলতে পারতাম, নাও পারতাম। সেই সময় মনে হয়েছিল, আমার কাজ শেষ। তাই বিদায় নেওয়াই ভালো।‘
অনাড়ম্বরে বিদায় বলার নেপথ্যও শুনিয়েছেন অশ্বিন। তবে তার শঙ্কা ছিল যদি তিনি ভারতের হয়ে খেলতে চান, তবে অসম্মানিত হতে পারেন। তাই আগে ভাগেই সরে দাড়িয়েছেন, ‘আমি আরও ক্রিকেট খেলতে চাই। কিন্তু জায়গা কোথায়? সেটা ভারতের ড্রেসিংরুমে নয়, অন্য কোথাও।
আমি খেলার প্রতি সৎ হতে চেয়েছিলাম। কল্পনা করুন, বিদায়ী টেস্ট খেলতে নামছি। অথচ দলে জায়গা নেই। ভাবুন একবার, শুধুমাত্র শেষ টেস্ট বলে আমি সুযোগ পেয়েছি। আমি সেটা চাইনি। আমি আরও খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু মানুষ প্রশ্ন তোলার আগে সরে যাওয়া ভালো।’ ১০৬ টেস্টে ৫৩৭ উইকেট নিয়ে অনিল কুম্বলের পর ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হিসেবে শেষ করেন অশ্বিন। ১০৬টি টেস্টে উইকেট নিয়েছিলেন ৫৩৭টি। ১১৬ ওয়ানডেতে ১৫৬ ও ৬৫ টি-টোয়েন্টিতে ৭২ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
টেস্টে ৩৭ বার পাঁচ উইকেট নিয়েছেন অশ্বিন। মুত্তিয়া মুরালিধরনের পর শেন ওয়ার্নের সঙ্গে যা যৌথ সর্বোচ্চ। টেস্টে সবচেয়ে বেশি ২৬৮ বার বাঁহাতি ব্যাটারদের আউট করার রেকর্ডও তার। ব্যাটিংয়েও স্মরণীয় অনেক মুহুর্ত আছে। টেস্টে ১৪ ফিফটি ও ৬ সেঞ্চুরিতে সাড়ে তিন হাজারের ওপর রান আছে অশ্বিনের।
Comments