Image description

জামালপুর প্রতিনিধি 
আরটিএনএন: বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) আবাসিক হলে সিট বাণিজ্য, ডাইনিংয়ের টাকা আত্মসাৎ, গেস্টরুম নির্যাতন, র‍্যাগিংসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ ছিল ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। তবে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এ ক্যাম্পাস থেকেও পালিয়েছেন সংগঠনটির নেতাকর্মীলা। এতে হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান উন্নত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। 

জানা গেছে, শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খাসির মাংস, পোলাওসহ স্পেশাল খাবারের আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এখন প্রায় প্রতি সপ্তাহে একদিন স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। ছাত্রলীগের সময়ে ১০০ টাকায় দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থা ছিল। এখন সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে দায়িত্ব নেওয়ায় একই পরিমাণ টাকায় তিনবেলা মানসম্মত খাবার খেতে পারছেন সবাই।

শিক্ষার্থীরা জানান, আগে ডাইনিং নিয়ন্ত্রণ করতেন ছাত্রলীগের নেতারা। তারা ডাইনিংয়ের টাকা নিজেরা ভোগ করতেন। এতে খাবার ছিল নিম্নমানের। অনেকে খেতে চাইতেন না। কেউ কেউ রান্না করে খেতেন। আবার অনেকে খেতেন হোটেলে।

ডাইনিং ম্যানেজার সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘ডাইনিং মিটিংয়ে এ তিনবেলা খাবারের প্রস্তাব করা হলে কেউ দায়িত্ব নেওয়ার সাহস করছিল না। তখন তারা দুই জন মিলে দায়িত্ব নিয়েছেন। সবার স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ এবং স্বচ্ছভাবে দায়িত্ব পরিচালনা করায় আমরা সবকিছু সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারছি।’

ফিশারিজ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাকিম বিল্লাহ নূর প্রায় দু’বছর ধরে হলে থাকেন। তিনি বলছিলেন, ‘৫ আগস্টের আগে ১০০ টাকায় দুপুর ও রাতের খাবার দিতো। মানসন্মতও ছিল না। হলে ওঠার শুরু থেকে তিনবেলা খাবার দেবে বলে শুনে আসছিলাম। কিন্তু ৫ আগস্টের আগে সম্ভব হয়নি।’ 

এখন সকাল, দুপুর ও রাতে তিনবেলা মানসন্মত খাবার পাচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আগে সাপ্তাহিক কোনো স্পেশাল খাবারের ব্যবস্থা ছিল না। এখন পাওয়া যাচ্ছে।