
বিনোদন ডেস্ক
আরটিএনএন: প্রেটি শি ইজ নামে সবাই তাকে চেনেন, কিন্তু তার আসল নাম প্রীতি সরকার। তিনি অতীতের টক্সিক সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। জানিয়েছিলেন কিভাবে তিনি একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হয়ে ওঠেন।
সেই পুরনো ভিডিওতে প্রীতিকে বলতে শোনা যায়, ২০১৮ সালে আমি একটা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। আমি যেহেতু তখন বেশ জনপ্রিয় ছিলাম, আমার সম্পর্কটাও বেশ জনপ্রিয় ছিল। আর আমি মানুষ হিসেবে একটু চাপা। আমি আমার ভালো জিনিসগুলো আমি সবার সঙ্গে শেয়ার করি; কিন্তু খারাপ জিনিসগুলো আমি চট করে সবাইকে বলতাম না। তো সবাই জানত খুব সুখী আছি; কিন্তু সম্পর্কটা ভীষণ অ্যাবিউসিভ, হ্যারাসিং আর ম্যানিপুলেটিভ ছিল। যখনই আমি বেরোনোর চেষ্টা করতাম আমায় ব্ল্যাকমেইল করত।
তিনি আরও জানান, সেই ব্যক্তি তাকে রাস্তায় গালিগালাজ করত। কলেজ যাওয়ার সময় নানা ধরনের গালি দিত। তারপরই তিনি ঠিক করেন যে সেই সম্পর্কে আর থাকবেন না। এরপর সেই ব্যক্তি তার বাড়ি এসে চিৎকার চেঁচামেচি করেন। প্রীতির বাবার সঙ্গেও অকথ্য ভাষায় কথা বলেন বলেও জানান তিনি। সেই সময়টা কঠিন ছিল বলেও ব্যাখ্যা করেন। তার বাবা তাকে ঘরে বন্দি করে রাখেন একপ্রকার, ছিল না কোনো বন্ধুও। বন্ধু থেকে পাড়া প্রতিবেশীরা ভাবতেন দোষ তার। সেই সময় একাধিকবার নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টাও করেন প্রীতি।
সেই সময়ের কঠিন স্মৃতিচারণ করে প্রীতি বলেন, ফেসবুক পোস্ট করা হয়, শুধু আমাকে নিয়ে নয়, আমার গোটা পরিবারকে নিয়ে লেখা হয়। ভুল। ওটার জবাব আমায় আজ পর্যন্ত দিতে দেওয়া হয়নি। সেই পোস্টে বলা হয় আমি নাকি তার সঙ্গে টাকার জন্য ছিলাম। আমার মা, দাদা, বাবা সবার চরিত্র নিয়ে বলা হয়। বহরমপুরে গেলে এখনও খারাপ কথা শোনা যায়।
প্রীতি জানান, সেই সময় থেকেই তিনি ভিডিও বানানো শুরু করেন, যখন ঘরে একা প্রায় গৃহবন্দি অবস্থায় থাকতেন। নাম দেন একটি বিউটি পেজেন্টে। সেখানে তিনি সফলও হন। তারপর থেকে তার নামে মিথ্যা রটানো হয়।
এতদিন যেসব গুজব রটেছে প্রীতির নামে এদিন সেসব নিয়েই মুখ খোলেন। জানান, গর্বের একটা সময় ছিল ওটা। তার কিছুদিন পর আমি শুনতে পাই ওদিক দিয়ে বলা হচ্ছে যে, আমি কোনো একজন রাজনীতিকের সঙ্গে শুয়ে জিতেছি, যার চেহারা আমি কখনও দেখিনি। লোকে যখন কোনো টপিক পায় না মানহানি করার, তখন নিজের মতো করে বানায়।'
Comments