Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 
আরটিএনএন: অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে তুর্কি-মার্কিন তরুণী আয়েশেনুর এগজি এয়গি নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান।

 শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিহত তরুণীর শান্তি কামনা করে একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। খবর জিও নিউজের

পোস্টে তিনি লেখেন- শুক্রবার ইসরাইলের বর্বর হামলার নিন্দা জানায়, যা পশ্চিমতীরে একটি মার্কিন-তুর্কি দ্বৈত নাগরিক আন্দোলনকারীর মৃত্যু ঘটিয়েছে।

এরদোগান আরও লেখেন- পশ্চিমতীরে ইসরাইলি দখদালের বিরুদ্ধে একটি মিছিলের ওপর ইসরাইলি বাহিনী বর্বর হস্তক্ষেপের নিন্দা করছি। আমাদের নাগরিক আইসেনূর এজগি ইগির আত্মার শান্তি কামনা করছি, যিনি এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নাবলুসে দখলদার ইসরাইলি বাহিনী এইগিকে গুলি করে হত্যা করেছে।

মর্মান্তিক এই ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন দুঃখপ্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ মিত্র ইসাইলকে দোষারোপ না করলেও ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার জানিয়েছেন, ওয়াশিংটন জরুরিভিত্তিতে ওই তরুণীর মৃত্যুর ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করছে।

তুর্কি সংবামাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, আয়েশেনুর এগজি এয়গি জন্ম ১৯৯৮ সালে তুরস্কের আনতালিয়ায়। কিন্তু বড় হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রে। মনোবিজ্ঞান ও মধ্যপ্রাচ্যের ভাষা এবং সাংস্কৃতি নিয়ে পড়াশুনা করেছেন ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২৬ বছর বয়সী ওই তরুণী নাবলুসের কাছে বেইতা শহরে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণের বিরুদ্ধে সাপ্তাহিক প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন। ফিলিস্তিনপন্থি ইন্টারন্যাশনাল সলিডারিটি মুভমেন্টের হয়ে ওইদিনই প্রথমবারের মতো বিক্ষোভে যোগ দিয়েছিলেন তিনি।

তার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, আয়েশানূর ছিলেন অত্যান্ত পরোপকারী, বিনয়ী ও উদার।