Image description

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আরটিএনএন: সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গড়ে ওঠা প্রেমের টানে পাকিস্তানে এসেছিলেন এক মার্কিন নারী। তবে সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরও তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। নানা নাটকীয়তার পর ইমিগ্রেশনের যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেও বিমানে চড়েননি তিনি। 

এ নিয়ে বুধবার করাচির জিন্নাহ ইন্টারন্যাশনাল বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। খবর জিও টিভি। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩৩ বছর বয়সি মার্কিন নাগরিক অনিজাহ অ্যান্ড্রু রবিনসনের সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ১৯ বছর বয়সি পাকিস্তানি তরুণ নিদাল আহমেদ মেননের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেই সুবাদে বিয়ের প্রতিশ্রুতি পেয়ে গেল বছরের ১১ অক্টোবর পর্যটক ভিসায় পাকিস্তানে আসেন অনিজাহ। 

এদিকে পরিবারের চাপের মুখে বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে তরুণ নিদাল। এ নিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে টানাপোড়েনে এরই মধ্যে ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ওই মার্কিন রমনীর। কারণ, তার ওই পর্যটক ভিসার মেয়াদ ছিল ৩০ দিন। যার ফলে পাকিস্তানে আটকে পড়েন তিনি।

 ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় করাচিতে তার অবস্থান বেআইনি ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। তার এমন অবস্থা জানতে পেরে একটি বেসরকারি সংস্থা তাকে আর্থিক সহায়তা ও ফেরার ব্যবস্থা করে দেয়।  তবে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিমানবন্দরে পৌঁছেও যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে অস্বীকার করেন তিনি।  

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রথমে তিনি ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অস্বীকৃতি জানান এবং পরে বিমানে উঠতেও রাজি হননি।

করাচি পুলিশ ও বিমানবন্দর নিরাপত্তা বাহিনী (ASF) তাকে ডিপারচার লাউঞ্জে নিয়ে গেলেও তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিমানে উঠতে অস্বীকার করেন। নিরাপত্তাবিধির কারণে কর্তৃপক্ষ জোর করে তাকে বিমানে তুলতে পারেনি।

কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও কর্তৃপক্ষ তাকে বিমানে তুলতে ব্যর্থ হন। অবশেষে আমেরিকান কনস্যুলেটের দুই সদস্যের একটি দল জিন্নাহ আন্তার্জাতিক আসেন। তবে তারাও সেই নারীকে দেশে ফেরার জন্য রাজি করাতে ব্যর্থ হন।

বিমানবন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় মার্কিন কনস্যুলেট দলটি জানায়, তারা অনিজাহকে দেশে ফেরাতে রাজি করানোর চেষ্টা করছে। তবে তারা জোর করে তাকে দেশে পাঠাতে পারে না।

পরে পুলিশ জানায়, ওই নারী নিজ দেশে ফেরার জন্য আমেরিকান কনস্যুলেটের সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানান এবং নিজেই বিমানবন্দর থেকে একটি ট্যাক্সিতে করে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন।

এ সময় বিমানবন্দর পুলিশের কাছে তিনি বলেন, আমি আমার স্বামীর কাছে যাচ্ছি।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অনিজাহর বিমানবন্দর ছাড়ার জন্য ১৫ দিনের অনুমতি রয়েছে। অর্থাৎ আগামী ১৪ দিনের মধ্যে তাকে পাকিস্তান ছাড়তে হবে।