নিউজ ডেস্ক
আরটিএনএন: দেশজুড়েই চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তীব্র থেকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই রেকর্ড গড়ছে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার।
এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার যশোরে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দেশের ইতিহাসেও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
টানা তাপপ্রবাহের কারণে কোথাও কোথাও গরম বাতাস তথা লু হাওয়া বইছে। যা চোখ মুখ ও শরীর ঝলসে দেয়। ফলে দেশজুড়েই সাধারণ মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে জনজীবন। বিশেষত উন্মুক্ত মাঠে ও গরম পরিবেশে কাজ করা শ্রমজীবীরা হাঁপিয়ে উঠছেন প্রতিমুহূর্ত।
এছাড়াও শিশু-বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা ভুগছেন যন্ত্রণায়। হাসপাতালে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর চাপ বেড়েছে। ধারণক্ষমতার বেশি রোগী ভর্তি থাকছে হাসপাতালে। রাজধানীর আইসিডিডিআরবি হাসপাতালেও ডায়রিয়া ও শ্বাসকষ্টের রোগীর ভিড় বেড়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এর আগে ১৯৭২ সালে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের রেকর্ড সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
একই দিন চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ছিল যশোরের আগে রেকর্ড হওয়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এর আগে দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায়। সে সময় জেলার তাপমাত্রা ওঠে ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আজ মঙ্গলবার সেই তাপমাত্রা ছাড়াল চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে। গত সোমবারও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চুয়াডাঙ্গায়, ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।