বিনোদন ডেস্ক
আরটিএনএন: বলিউড অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু ও অভিনেতা নাগা চৈতন্য দীর্ঘ চার বছর সংসার করার পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ২০২১ সালে তাদের বিচ্ছেদ হয়। আর তাদের এ বিচ্ছেদের মূল কারণ ছিল সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির আগমন। এরপর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নেটিজেনদের মাঝে বেশ আলোচানা-সমালোচনার গুঞ্জন চলতেই থাকে।
সম্প্রতি তেলেঙ্গানার বন ও পরিবেশমন্ত্রী কোনডা সুরেখা দাবি করেছেন— সামান্থা ও নাগার বিচ্ছেদের পেছনে রয়েছে এক সুগভীর রাজনৈতিক চক্রান্ত। এই চক্রান্তের পেছনে নাকি হাত ছিল তৎকালীন মন্ত্রী কেটি রামা রাওয়ের। এক রাজনৈতিক সভায় দেওয়া বক্তব্যেই এমনটি দাবি করেন কোনডা সুরেখা।
তার মন্তব্যের জেরে আলোড়ন পড়েছে রাজনীতি থেকে বিনোদন জগতের সর্বত্র। সুরেখার মন্তব্যের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছেন স্বয়ং নাগা চৈতন্য ও সামান্থা। এমনকি নার্গাজুন আক্কিনেনিও। কিন্তু নাগা চৈতন্য আবার তার মন্তব্যের জন্য সমালোচিত হচ্ছেন। তিনি ১৫০ শব্দের একটি বিবৃতি দেন কিন্তু কোথাও তিনি সামান্থার নাম উল্লেখ করেননি। নিজের বিবৃতিতে একবারও সাবেক স্ত্রী সামান্থার নাম উল্লেখ করেননি নাগা চৈতন্য।
গত ১ অক্টোবর সুরেখা দাবি করেছিলেন, মন্ত্রী কেটি রামা রাওয়ের ষড়যন্ত্রের কারণেই বিবাহবিচ্ছদ হয় নাগা চৈতন্য ও সামান্থার। তার পরই সামান্থা স্পষ্ট জানান, কোনো রাজনৈতিক কোন্দলে তার নাম যেন না জড়ানো হয়।
সেই রাতেই ১৫০ শব্দের একটি বিবৃতি দেন নাগা চৈতন্য। কিন্তু কোথাও তিনি সামান্থার নাম উল্লেখ করেননি। বারবার ‘সাবেক স্ত্রী’ সম্বোধন করেছেন এ অভিনেতা। এ বিষয়টি নজর এড়ায়নি নেটিজেনদের। এক নেটিজেন মন্তব্য করেছেন—বারবার ‘স্ত্রী’ সম্বোধন করলেন। অথচ একবারও সামান্থার নাম উচ্চারণ করলেন না। আরেকজন লিখেছেন— সামান্থার নাম কি মুখেও আনা যায় না?
এখানেই শেষ নয়; বিবাহবিচ্ছেদের পর নেটিজেনদের একটি অংশ সামান্থার দিকে আঙুল তুলেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ও চুপ ছিলেন নাগা চৈতন্য। কোনো প্রতিবাদ করেননি। সেই প্রসঙ্গও তুলে আনেন সামান্থার অনুরাগীরা।
মূল সমস্যার সূত্রপাত এন কনভেনশন সেন্টার থেকে। এর মালিকানা ছিল নাগার্জুনের। হায়দরাবাদ বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর এই বহুতলের একাংশ ভেঙে ফেলে আগস্টে। কেটিআর নাকি বলেছিলেন— এই কনভেনশন সেন্টার ভাঙা হবে না একটাই শর্ত— সামান্থাকে তার কাছে পাঠাতে হবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সায় দেননি সামান্থা। তার ফলস্বরূপ বিবাহবিচ্ছেদ। কোন্ডা সুরেখার এ দাবিতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।