
নিজস্ব প্রতিবেদক
আরটিএনএন: জুলাই মঞ্চের সংগঠক ও প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম তালুকদার বলেন, জুলাইয়ের বিপ্লবে একটি রাষ্ট্রের দেহের কেবল পোশাক পরিবর্তন হয়েছে। পুরো দেহটাই এখনো পরাজিত মাফিয়ার। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রে এখনো পরাজিত শক্তির দোসররা বসে আছে। যার ফলে এখনো স্বাধীন বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ নিবন্ধিত রয়েছে। এর মানে আওয়ামীলীগ সামনের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি কোন বাধা থাকছে না। একই সাথে সারাদেশে চলমান খুন, ছিনতাই ও ধর্ষণের পরোক্ষ ইন্ধন দিয়ে যাচ্ছে পরাজিত শক্তি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল দেখাতে চায় এবং তার সুযোগ নিয়ে সেনা শাসনের কোন উদ্দেশ্য রেখেছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে। কাজেই গণহত্যার বিচার না করার মধ্যে বাংলাদেশ একটা গভীর সংকটের আশংকায় ফেলে রেখেছে। অবিলম্বে গণহত্যার বিচারের জন্য দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আওয়ামীলীগের নিবন্ধন বাতিল করতে হবে। অন্যথায় জুলাই বিপ্লবীরা আবার রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।
আজ সন্ধ্যায় জুলাই মঞ্চের উদ্যেগে আয়োজিত মশাল মিছিল শেষে সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে জুলাইয়ের গণহত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা ২৩ দিনের মত অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে জুলাই মঞ্চ। আজ মিছিলটি শাহবাগ থেকে টিএসসি হয়ে আবার শাহবাগে এসে শেষ হয়। টিএসসিতে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জুলাই মঞ্চের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
বক্তব্যে মঞ্চটির অন্যতম সংগঠক ও প্রতিনিধি সাকিব হোসাইন বলেন, আমরা দীর্ঘ ২৩ দিন ধরে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি, অথচ আমাদের পাশেই পরাজিত শক্তির দোসর, ২০১৩ সালের রাষ্ট্রীয় মব সৃষ্টিকারী কথিত গজা মঞ্চের সদস্যরা মব সৃষ্টির সাহস দেখাচ্ছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। জুলাই গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার না করার ফলাফল হলো আওয়ামীলীগের ফিরে আসা। আওয়ামীলীগ ফিরে আসার অর্থ আবারো বাংলাদেশ ভারতীয় আগ্রাসনের মুখে পড়বে। আওয়ামীলীগ বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্বকারী কোন দল নয় এটা জুলাই-আগস্ট ২০০০ ছাত্র জনতা জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছে। আমরা বাংলাদেশে আর আগ্রাসনবাদী শক্তিকে আর ফিরে আসতে দেবোনা। এজন্য আমাদের আবারো বিপ্লব সংগঠিত করতে হলেও আমরা প্রস্তুত আছি।
জুলাই মঞ্চের অন্যতম সংগঠক প্রতিনিধি অর্নব হুসেইন উনার বক্তব্যে বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া ২০০০ ছাত্র-জনতার পরিবার যতক্ষন নির্বাচন চাইবে না ততক্ষণ বাংলাদেশে কোন নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। শহীদদের রক্তের সাথে বেইমানি কখনো মেনে নেওয়া হবে না। গণহত্যার বিচারের দাবিতে জুলাই মঞ্চ অনড় অবস্থানে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কাজ ছিলো গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা। কিন্তু ৭ মাসে একটা রায় ঘোষণা করতে না পারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতা। এই বিচারহীনতার কারনেই আওয়ামিলীগ এর লেসপেন্সার গ্রুপ সুসংগঠিত হয়ে দেশের ভিতর চুরি, ডাকাতি, রাহাজানি করতিছে। দেশের শৃঙ্খলা বিনিষ্ট করছে। এই অরাজকতা রুখতে হবে। গণহত্যাকারীদের গ্রেফতার ও রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে।
মশাল মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের প্রতিনিধি থোয়াই চিং মং, শাকিল মিয়া, রাকিব হোসেন গাজী, জাবের মাহমুদ, ফুয়াদ হোসেন, নাইম হোসেন, সুরাইয়া আন্তা, ইসমাঈল শান্ত সহ আরো অনেকে।